শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
মোঃ নাসিরউদ্দীন গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি গলাচিপা নদীর গ্রাসে বিলীন হয়ে যাচ্ছে গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদের কবরস্থান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দুইশ’ বছরের পুরনো জমিদারবাড়ি, মসজিদ, মন্দির, তেঁতুলতলা বাজারে গড়ে ওঠা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও বাড়ি ঘর। ইতিমধ্যে দু’বার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় অথবা নিম্নচাপের পূর্বাভাস এলেই নির্ঘুম রাত কাটায় তিনটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ, কখন জোয়ারের পানিতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় তাদের ফসল ও সহায় সম্পদ। ভুক্তভোগীরা জানায়, গলাচিপা নদীর তীরে উপজেলার একটি জনগুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন ডাকুয়ার তিনটি গ্রাম আটখালী, ডাকুয়া ও হোগলবুনিয়ায় রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ দুইশ’ কোটি টাকার সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।
সারা বছর চলে নদীভাঙন, বর্ষায় ভাঙনের তীব্রতা রুদ্ররূপ ধারণ করে। গলাচিপা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের ওপর কার্পেটিং পাকা সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে গলাচিপা উপজেলা সদর থেকে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও পটুয়াখালী সদর ও দশমিনা উপজেলার সঙ্গে সড়কপথে যোগাযোগ গড়ে উঠেছে। নদী শাসনের কোনো ব্যবস্থা করা না হলে বর্ষা মৌসুমেই নদীতে চলে যাবে সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহামুদের কবরস্থান। ভাঙনের মুখে রয়েছে ডাকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন জৈনপুরী পীর সাহেবের খানকা, আটখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, আটখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়, আটখালী কমিউনিটি ক্লিনিক, গলাচিপা-কলাগাছিয়া সংযোগ সড়কের একাংশ, গলাচিপা-চরচন্দ্রাইল সংযোগ সড়কের একাংশ। ৫টি মসজিদ, ২টি মন্দির, তেঁতুলতলা বাজার এছাড়া দুইশ’ বছরের পুরনো জমিদার বাড়িসহ অসংখ্য বাড়িঘর ও ফসলি জমি।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিষ কুমার জানান, গলাচিপা নদীর ভাঙন কবলিত ডাকুয়া ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম ভাঙন রোধ কারার জন্য তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে একাধিকবার ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কথা বললে নির্বাহী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।